চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥ চরফ্যাসনে পুত্রবধুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরের বিরুদ্ধে।ভিক্টিম বর্তমানে চরফ্যাসন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।এঘটনায় শুক্রবার রাতে পুত্রবধু বাদি হয়ে শ্বশুর কাদের মাঝি(৫০)কে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ দায়েরের পর রাতেই চরফ্যাসন থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কিন্তু ঘটনার ৭ দিন অতিবাহিত হলেও মামলা নেয়নি চরফ্যাসন থানা পুলিশ। ভিক্টিমের অভিযোগ পুলিশ মামলা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে সময় ক্ষেপন করে এখন তাকে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দিচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে শ্বশুরের বসত ঘরে এঘটনা ঘটে। গতকাল বুধবার ওই গৃহবধু সাংবাদিকদের লিখিত অভিযোগে জানান, তার স্বামী চট্রগ্রামে দিনমজুরের কাজ করেন। ঘটনার রাতে তার স্বামী এবং শ্বাশুরী বাড়িতে ছিলেন না। শ্বশুর কাদের মাঝিসহ তিনি রাতে একই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে তার শ্বশুর ঘুমন্তস্থায় ঝাপটে ধরে মুখে গামছা গুজে জোরপুর্বক তাকে ধর্ষণ করেন। এসময় তিনি আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে ধর্ষক শ্বশুর তাকে কামড়িয়ে ঠোঁটে এবং বুকে ক্ষত করে ফেলেন। এঘটনার পরপরই তিনি ধর্ষক শ্বশুরের হাত থেকে বাঁচতে পার্শ্ববর্তী চাচী শাশুরীর ঘরে আশ্রয় নেন। এঘটনায় তিনি বাদি হয়ে শ্বশুর কাদের মাঝিকে আসমী করে চরফ্যাসন থানায় গত শুক্রবার রাতে তিনি এজাহার দাখিল করলে ও অজ্ঞাতকারনে মামলা নেননি পুলিশ। মামলা নেয়ার নামে সময় ক্ষেপন করে এখন তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বলে ভিক্টিম অভিযোগ করেন। বর্তমানে তিনি চরফ্যাসন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ভিক্টিম আরো অভিযোগ করেন,চরফ্যাসন থানার ওসি আসামী পক্ষদ্বারা প্রভাবিত হয়ে অনৈতিক লেনদেনের বিনিময়ে প্রভাবশালী ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে ধর্ষণের ঘটনাটি মামলা হিসেবে না নিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
এদিকে অভিযুক্ত শ্বশুর কাদের মাঝির বাড়িতে গিয়ে তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। বাড়ির লোকজন বলেছেন ঘটনার পরদিন থেকেই তিনি বাড়িতে আসেনি।
চরফ্যাসন থানার উপ-পরিদর্শক নাসির উদ্দিন জানান, ভিক্টিমের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মামলা নেয়া না নেয়ার বিষয় ওসি সাহেব সিন্ধান্ত নিবেন।
চরফ্যাসন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া জানান, অনৈতিক লেনদেনের বিষয়টি সঠিক নয়। তবে তদন্ত করে ধর্ষণের বিষয়টি সঠিক মনে হয়নি তাই মামলা নেয়া হয়নি। তবে ভিক্টিমকে আদালতে মামলা করতে বলেছি।
Leave a Reply